পাকিস্তানের হাতে আছে মাত্র ১৮ দিনের রিজার্ভ
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই আশঙ্কাজনক। তার সঙ্গে রয়েছে বিদেশি ঋণের কিস্তি সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি। বর্তমানে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩০৯ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর দেশটিতে রিজার্ভ সর্বনিম্নে নেমে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। একই সঙ্গে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির মুদ্রা রুপির মানও ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর আরেকটি রেকর্ড গড়েছে বলে জানিয়েছে ডন।
পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের (এসবিপি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের পর জানুয়ারির ২৭ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে তাদের রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ শতাংশ কমে ৩০৯ কোটি ডলারে নেমে গেছে। এ অর্থ দিয়ে দেশটি তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয়ও মেটাতে পারবে না।
স্থানীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আরিফ হাবিব লিমিটেডের (এএইচএল) তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের রিজার্ভ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এখনই সবচেয়ে কম। এ অর্থ দিয়ে ১৮ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। এত কম দিনের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ ১৯৯৮ সালের পর আর কখনোই দেখা যায়নি।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬৫ কোটি ডলার, যার অর্থ দেশটির মোট ডলার মজুদের পরিমাণ এখন মাত্র ৮৭৪ কোটি ডলার, বলছে এসবিপি।