দেশজুড়ে

হিমেল উত্তরে শীতের ছোবল, তেঁতুলিয়ায় আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের মানচিত্রে একেবারে উত্তরের শেষ প্রান্তে পঞ্চগড়। শীত এলেই যেন সবার আগে এই জেলার দুয়ারে কড়া নাড়ে হিমেল বাতাস। দিন যত গড়াচ্ছে, ততই নামছে তাপমাত্রার পারদ, আর কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের নিচে জেঁকে বসছে কনকনে শীত। সূর্য উঠলেও তার উষ্ণতা ছুঁতে পারছে না মাটির মানুষকে। শীতের এই নীরব রাজত্বে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ—যাদের জীবিকা চলে খোলা আকাশের নিচে।

টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে। উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। কুয়াশা না থাকলেও সূর্যের দেখা মিলেছে কেবল আলোয়, উষ্ণতায় নয়।

এর আগের দিন রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায়ও তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। একই রকম ঠান্ডা বিরাজ করে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালেও—সেদিনও তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। ওই দিন তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যদিও দিনের বেলায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে—রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস—তবু সকাল আর রাতের শীত সহজে পিছু ছাড়ছে না।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত ১১ ডিসেম্বর থেকে জেলায় টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়েই রেকর্ড হচ্ছে বলে জানান তিনি। জিতেন্দ্রনাথ রায় আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন