আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

লিভিংস্টোনের জোড়া রেকর্ডেও জয় বঞ্চিত ইংল্যান্ড

ওয়ানডেতে অধিনায়ক বাবর আজমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসেও হোয়াইটওয়াশ থেকে বাঁচাতে পারেনি পাকিস্তানকে। তেমনি টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে লিয়াম লিভিংস্টোনের দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া ম্যাচেও জয় পেল না ইংল্যান্ড।
 
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাতে নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে জয় পেয়েছে সফররত পাকিস্তান।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মোহাম্মদ রেজওয়ান এবং অধিনায়ক বাবর আজন ১৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। শেষ দিকে শোয়েব মাকসুদের ৭ বলে ১৯ ও মোহাম্মদ হাফিজের ১০ বলে দ্রুতগতির ২৪ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।
 
জবাবে ২৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ নম্বরে ব্যাটসম্যান লিয়াম লিভিংস্টোন ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পরও দলকে হারের স্বাদ থেকে বাঁচতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ২ ওভারে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩১ রানের জয় তুলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম-রিজওয়ান দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন। ৩৪ বলে রিজওয়ানের ফিফটি করার আগেই ৩৫ বলে অর্ধশত রানের দেখা পান অধিনায়ক বাবর। ১৪.৪ ওভারে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে রেজওয়ান সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৫০ রানের জুটি। ৪১ বলে আটটি চার ও এক ছয়ে ৬৩ রান করেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের বিদায়ের পর বাবর সেঞ্চুরির আশা জাগালেও ব্যর্থ হন তিনি। ৪৯ বলে আট চার ও তিন ছয়ে ৮৫ রানে ফিরেন তিনি।

শেষদিকে শোয়েব মাকসুদ ৭ বলে ১৯, ফখর জামান ৮ বলে ২৬ এবং হাফিজ ১০ বলে ২৪ রান করলে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। 

২৩৩ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ইংল্যান্ডের জেসন রয়। কিন্তু অন্যপ্রান্তে দ্রুতই মালান, জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলীকে হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। ব্যক্তিগত দুই রানে জীবন পেয়ে তেতে উঠেন পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা লিয়াম লিভিংস্টোন। দেশের হয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির পর গড়েন সেঞ্চুরির রেকর্ডও। ১৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরি করেন ৪২ বলে। শেষ পর্যন্ত লিভিংস্টোনকে ঘিরে জয়ের আশা দেখা ইংলিশরা জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি। ইনিংসের ৪ বল আগেই ২০১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৩ বলে ১০৩ রানে থামেন লিভিংস্টোন। এছাড়া ১৬ রান করে ফিরেন ইয়ান মরগান।
 
পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও স্পিানার শাদাব খান নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট শিকার করেন পেসার হাসনাইন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন