আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

স্ত্রীর পর করোনায় মারা গেলেন সাবেক এমপি আফাজ

স্ত্রীর মৃত্যুর ১০ দিন পর করোনায় মারা গেলেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১ টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি তিন ছেলে, চার মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজন এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা আফাজ উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। গত ২৩ জুন তাদের দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাদের। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার একপর্যায়ে মনোয়ারা বেগমকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৮ জুলাই সকালে মনোরায়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন।

আফাজ উদ্দিন আহমেদ স্ত্রীর মৃত্যুর সময় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় তার শারীরিক অবস্থাও মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

পাঁচদিন আগে বিএসএমএমইউ থেকে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আইসিইউতে নেয়ার পর ক্রমশ তার অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। এরপর শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফাজ উদ্দিন আহমেদের রয়েছে বর্ণাঢ্য ইতিহাস। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর একাধারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে না ওঠায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখানকার আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। পরিচ্ছন্ন ইমেজের কারণে নিজ দলের বাইরেও সবার কাছে ছিলেন গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আফাজ উদ্দিন আহমেদ এরশাদ সরকারের আমলে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দল ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন