আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

বৃদ্ধার মরদেহ নিলনা কেউ! দাফনের ব্যবস্থা করলো ছাত্রলীগ

হাসপাতাল থেকে এক বৃদ্ধার মরদেহ নিলেন না কেউই। সেই মরদেহ দাফন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়।

শনিবার রাত ১১ টার দিকে ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বৃদ্ধার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেওয়ার স্বামী আজাহার আলী প্রায় একবছর আগে মারা গেলে লালমনিহাটের ছিনাই এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়ায় ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসেন। এক ছেলে এক মেয়ে অনেক আগে থেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন।

বৃদ্ধার ফাতেমার তিন ভাইই অতি দরিদ্র। এ কারণে অসুস্থ্য হয়ে প্রায় দেড় মাস আগে ভর্তি হন ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানেই শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। দেড় মাসেও বৃদ্ধার আপনজন ও কোন আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে খোঁজ খবর নিতে আসেনি।

বৃদ্ধার মুত্যুর খবর উপজেলার সদরে জানাজানি হলে বৃদ্ধার লাশ দাফনের দায়িত্ব নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বৃদ্ধার মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের সামনে জানাযা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জানান, বৃদ্ধা দেড় মাস ধওে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দেড় মাসেও কোন আত্মীয়-স্বজন দেখতে আসেনি। মৃত্যুর পরেও মরদেহ কেউই নিচ্ছে না যখন তখন আমরাই দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেছি।

শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. উম্মে হাফসা জানান, ওই বৃদ্ধা প্রায় দেড় মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কেউ একজন ভর্তি করে গেছেন। নানারোগে ভুগছিলেন তিনি। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন