চট্টগ্রামে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা
চট্টগ্রাম নগরীতে শুরু হয়েছে ২১ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে বইমেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর অকালপ্রয়াণের পর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্ষমতা দখল করে জনগণ বিশেষ করে শিশুদের মগজধোলাই করেছে। বিকৃত ইতিহাস শিখিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করতেই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বইমেলার মাধ্যমে মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করা হবে। বইমেলার প্রতিটি বই হয়ে উঠবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অস্ত্র।
এ সময় চসিক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী নতুন প্রজন্মের হাতে মোবাইল নয়, বই তুলে দেয়ার আহ্বান জানান ।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান, রুমকি সেনগুপ্ত, চসিকের উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ প্রমুখ।
বইমেলা আয়োজন সূত্রে জানা গেছে, এক লাখ দুই হাজার ৩০০ বর্গফুট জায়গায় ৩২টি ডাবল ও ৭৬টি সিঙ্গেল স্টলে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্টলের মধ্যে প্রথমা, বাতিঘর, শৈলী, বলাকা, প্রজ্ঞালোক, ইতিহাসের খসড়া, চন্দ্রবিন্দু, রাদিয়া, মনন, কথন, পূর্বা, নন্দন, সালফি, স্বাধীন প্রকাশন, ঝিলমিল, গল্পকার, কথাবিচিত্রা, হাওলাদার, কাকলী, ভোরের কাগজ, তাম্রলিপি, আদিগন্ত, বাবুই, রোদেলা, চারুলিপি, চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ, চন্দ্রাবতী একাডেমি, শিশু একাডেমি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ইত্যাদি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।