আর্কাইভ থেকে ঢালিউড

ফ্রান্স মাতিয়ে ফিরলেন সাদ-বাঁধনরা

কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৪তম আসর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশি সিনেমার জন্য বিশেষ আসর হয়ে থাকবে। এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো সিনেমা কানের মূল বিভাগে মনোনীত হয়েছিল। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর হাত ধরে এই সাফল্য এসেছিল সাদ-বাঁধনদের কল্যাণেই।

শেষ পর্যন্ত কোনো পুরস্কার আনতে না পারলেও বিশ্বব্যাপী বেশ আলোচিত হয় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের নির্মাণ আর আজমেরী হক বাঁধনের অভিনয় মাতিয়ে দিয়েছে আয়োজক দেশ ফ্রান্সকে। বিশ্বের নানা দেশের ফিল্ম ক্রিটিকদের ভূয়সী প্রশংসা ছিল না কম বড় প্রাপ্তি।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন সিনেমাটির নির্মাতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলীরা। এর মধ্যে ছিলেন পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, চিত্রগ্রাহক তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল, শব্দ প্রকৌশলী শৈব তালুকদার, কালারিস্ট চিন্ময় রয় এবং নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।

কানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমরা যেদিন প্রথম শুনেছিলাম, আমাদের ছবি কানে প্রিমিয়ারের জন্য অফিশিয়ালি মনোনীত হয়েছে, সেদিনই আমরা সর্বোচ্চ সম্মানিত বোধ করেছি। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আমরা যে সমর্থন পেয়েছি তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। যেকোনো পুরস্কারই হয়তো ভালোলাগার কিন্তু আমাদের যে জার্নি হলো তা পুরস্কারের চেয়েও বেশি।’

‘রেহানা মরিয়ম নূর‘ সিনেমাটি গড়ে উঠেছে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপকের জীবন নিয়ে। পরিবার ও কর্মস্থলে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। একজন শিক্ষক, চিকিৎসক, বোন, কন্যা ও মা হিসেবে তার জীবনযাপনের জটিলতা নিয়েই এগিয়েছে গল্প।

সাদের নির্মাণে ১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ব্যাপ্তির সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাঁধন। এতে বাঁধন ছাড়াও দেখা যাবে সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই প্রমুখকে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন