আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

জয় দিয়ে শততম টি-টোয়েন্টি রাঙিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে সফরে টি-২০ সিরিজেও শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের সাফল্য টেনে এনেছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করেণেও। হারারেতে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। জিম্বাবুয়ের করা ১৫২ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১.১ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে গেল। এর ফলে নিজেদের শততম টি-২০ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখল বাংলাদেশ।

২০০৬ সালে টি-২০ ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। এই ১০০ ম্যাচের মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১২টি করে খেলেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ভারত আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছে ১১টি করে ম্যাচ। ১০টি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬টি করে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া নেদারল্যান্ডের, ওমান, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেপাল, স্কটল্যান্ড ও হংকংয়ের বিপক্ষে টি-২০তে মাঠে নেমছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অসাধারণ ব্যাটিংয়ের দক্ষতা রেখেছেন। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও সৌম্য সরকার এতটাই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন যে, ১০ উইকেটে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। তারা প্রথম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১০২ রান জমা করেন, বাংলাদেশের টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম উইকেটে এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহ। উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৯২। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই গত বছর মার্চে এই জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

নাইম শেষ পর্যন্ত ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে দুর্ভাগ্য সৌম্য সরকারের। একই সঙ্গে বাংলাদেশেরও। হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের হারানো অন্য উইকেটটিও রান আউটে কাটা পড়েছে। ১৫ রানে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। দুই সঙ্গী হারালেও নাইম ছিলেন অবিচল। নুরুল হাসানকে সঙ্গী করে তিনি দলকে জয় এনে দেন। নাইম ৫১ বলে ৬৩ রান করেছেন। কোনো ওভার বাউন্ডারি নেই তার ইনিংসে। তবে বাউন্ডারি ছিল ছয়টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি শোভা পেয়েছে তার হাতে। অন্যদিকে সৌম্য তার ৫০ রানের ইনিংসটি সমৃদ্ধ করেছিলেন চারটি বাউন্ডারি ও দুটো ওভার বাউন্ডারিতে।

জিম্বাবুয়ে টস জিতে ব্যাটিং নিলেও শুরুটা ভালো ছিল না। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও তারা ভালো ইনিংস গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। রেজিস চাকাভা ও ওয়েসলে মাধেভেরার চমৎকার ব্যাটিংয়ে এক উইকেট হারিয়ে তারা ৭৪ রানে পৌঁছেছিল। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতনে তাদের বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৭৪ রান থেকে ১১৯ রানে পৌঁছাতে তারা আরও পাঁচ উইকেট হারায়। ফলে ১১৯ রানে তাদের ৬ উইকেটের পতন হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২।

বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সফল বোলার। তিন উইকেট নেন তিনি। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম দুটো করে উইকেট নেন।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন