আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

স্বর্ণ জয়ের উদযাপন শেষে জানলেন জিতেছেন রৌপ্য

ফিনিশ লাইন ক্রস করে সাইকেলের হেন্ডেলবার ছেড়ে দুই দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে উদযাপন করলেন স্বর্ণ জয়ের। ছুটে গেলেন কোচের কাছে। উন্মাদ উদযাপনের মাঝেই জানতে পারলেন, স্বর্ণ জয়ের উদযাপনটা তার আগেই সেরে ফেলেছেন অন্য কেউ। তার কপালে জুটেছে রৌপ্য। নারীদের রোড রেসে এমন অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছে টোকিও অলিম্পিক।

রোববার (২৫ জুলাই) ফুজি ইন্টারন্যাশনাল স্পিডওয়ে সার্কিটে ৩ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১৩৭ কিলোমিটার পারি দিয়ে স্বর্ণ পদক জয় লাভ করেন অস্ট্রিয়ার কিসেনহোফার। তার থেকে ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় বেশি নিয়ে রৌপ্য যেতেন নেদারল্যান্ডসের আন্নেমেইক ভ্যান ভ্লুটেন। এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন ইতালির এলিসা লোঙ্গো বোরঘিনি। তবে ভ্লুটেন জানতেন না, তাঁর আগেই অন্য কেউ ফিনিশ লাইন অতিক্রম করে ফেলেছেন।

নিজ দল ও পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ত্রুটি হওয়ার কারণে এ ভুল হয় ভ্লুটেনের। রেডিওতে ঠিকঠাকভাবে সংযোগ পাননি তিনি। তার দল তাই তাকে কে এগিয়ে আছেন তা জানাতে পারেননি। নিজের ভুলটা অবশ্য পরে সাংবাদিকদের কাছেও স্বীকার করেছেন ভ্লুটেন। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আমি ভেবেছিলাম আমি জিতেছি। আমি অবশ্যই এ সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম। প্রথমে আমি সত্যি নিজেকে নির্বোধ ভাবছিলাম, কিন্তু পরে দেখলাম অন্যরাও জানে না কে জিতল।'

'কোন প্রকার যোগাযোগ ছাড়া যদি আপনি এমন গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার উদাহরণ এটা (নিজের অবস্থান সম্পর্কে না জানা)। বিশ্বের প্রতিটি সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে এবং এখানে আমাদের তিনজন দাঁড়িয়ে চিন্তা করছি কে আসলে জিতেছি'- ভ্লুটেন যোগ করেন।  

যদিও বা রৌপ্য নিয়েও সন্তুষ্ট ভ্লুটেন। অলিম্পিকে এটাই তার প্রথম পদক। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এই সাইক্লিস্ট। সেখান থেকে ফিরে এসে টোকিওতে দ্বিতীয় হওয়াটা যে দারুণ কিছু তা জানেন ভ্লুটেন নিজেও। তাই দ্বিতীয় হলেও পদকটি নিয়ে গর্বিত এই ডাচ অ্যাথলেট। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন