কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও বানে ভেসে ২০ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারে টানা ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধস ও বানে ভেসে গত দুদিনে ছয় রোহিঙ্গাসহ ২০ জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।
টেকনাফ:
বুধবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ার সৈয়দ আলমের বাড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া সৈয়দ আলমের পাঁচ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিহতরা হলেন, আব্দু শুক্কুর , মোহাম্মদ জুবাইর, আবদুর রহিম, মেয়ে কহিনুর আক্তার ও জয়নবা আক্তার। এদিকে, মঙ্গলবার পাহাড় ধ্বসে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় রকিম আলী নামে একজন নিহত হন।
উখিয়া:
বুধবার ও মঙ্গলবার কক্সবাজারে উখিয়ায় পাহাড় ধসে ও পানিতে ডুবে শিশুসহ ছয়জন রোহিঙ্গা ও তিনজন স্থানীয় নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত আরও পাঁচজন।
মহেশখালী:
মহেশখালীতে পৃথক দুটি ইউনিয়নে এক বৃদ্ধ ও এক কিশোরী পাহাড় ধসে নিহত হয়েছেন। এরা হলেন, হোয়ানক ইউনিয়নে রাজুয়ার ঘোনার বাসিন্দা আলী হোসেন ও মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকার আনসার হোসেনের মেয়ে মোর্শেদা বেগম। এদিকে, ঈদগাঁও উপজেলায় ঢলের পানিতে স্রোতের মাঝে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ মিলেছে। নিহতরা হলেন- দরগাহপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ শাহাজাহানের দুই ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও দেলোয়ার হোসেন এবং আবছার কামালের ছেলে মোহাম্মদ মোরশেদ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ জানান, শ্রাবণের অতিবর্ষণে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। জলমগ্ন হয়েছে জেলার নয় উপজেলার সমতলও। শত শত বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কাজ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং ও অভিযান চলছে।
মুনিয়া