প্রবাস
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মাহমুদ বিরল সম্মানে ভূষিত
বিশ্ববিখ্যাত কেমিক্যাল কোম্পানি বিএএসএফ’র বিজ্ঞানী ড. মাহমুদ হুসাইন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলে অবদানের জন্য এশিয়ান সায়েন্টিস্টস ও ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। ড. মাহমুদ ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া থেকে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল বায়োলজিতে পোস্ট ডক ফেলো হিসেবে প্রায় ৩ বছর গবেষণা করেন।
২০১৭ সালে বিএএসএফে যোগদান করেন সিনিয়র সাইনটিস্ট হিসেবে। একজন তরুণ গবেষক হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি ১০টি প্যাটেন্টসহ প্রায় ৩০টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বিশ্বের টপ রেটেড আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত করেন। তিনি বিএএসএফ সহযোগী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের একটি টিমকে নেতৃত্ব দেন।
কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স গঠন করে এবং বিএএসএফ কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে সাহায্যের আবেদন করেন। এর ফলে বিএএসএফের অ্যাম্পিফিলিক সিস্টেমস রিসার্চ এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট বেনেডিক্ট রাথারের পরামর্শে মাত্র চারদিনেই ড. মাহমুদ এবং তার টিম হ্যান্ডক্লাস্প তৈরি করেছেন। এটি একটি উচ্চমানের এফডিএ অনুমোদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার। স্যানিটাইজারটি স্থানীয় হাসপাতাল এবং পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে ব্যাবহারের জন্য অনুমতি পায়। এই অবদানের জন্য বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরগণ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ
প্রবাসীরা মনে করছেন, এই প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জন্য বিরল এক সম্মান বয়ে এনেছেন ড. মাহমুদ। তারা ড. মাহমুদের সাফল্য কামনা করছেন। ড. মাহমুদ ড. মুহাম্মদ মুশাররফ হুসাইন এবং অধ্যাপিকা মাহমুদা মুশাররফের একমাত্র পুত্র।
এস
প্রবাস
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ জনের মরদেহ দেশে এলো
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এর আগে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরআগে, লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, আজ ২ মে দুপুর সোয়া ১২টায় লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
গেলো মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গেলো ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এই দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।
৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।
জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপর জন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।
প্রবাস
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ৮ জনের মরদেহ দেশে আসছে আজ
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত হন আট বাংলাদেশি নাগরিক। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে তাদের মরদেহ দেশে পৌঁছাচ্ছে।
লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, আজ ২ মে দুপুর সোয়া ১২টায় লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
গেলো মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
গেলো ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এই দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে।
৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।
জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপর জন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।
প্রবাস
চেরি-টিউলিপে যুক্তরাষ্ট্র সেজেছে বাসন্তী সাজে
বরফ জমা শীতের সময় শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন বসন্তের আগমন। বিভিন্ন গার্ডেন, পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে ফুটেছে টিউলিপ, চেরিসহ নানা ধরণের ফুল। দেখে মনে হয় ওয়াশিংটন, নিউইয়র্কসহ পুরো যুক্তরাষ্ট্র যেনো সেজেজে বাসন্তির অপরূপ সাজে। যুক্তরাষ্ট্রে সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা বাড়ছে। তারপরও ফুলের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দুর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌন্দর্যপিপাসুদের অনেকে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত বছরের মতো এবারও খানিকটা আগেই দেশটিতে ধরা দিচ্ছে বসন্তের চিত্র। শহরের বিভিন্ন পার্ক কিংবা সড়কে শোভা পাচ্ছে লাল ও গোলাপি রংয়ের টিউলিপ ও চেরিসহ অন্যান্য ফুল। সৌন্দর্য স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে চারদিক।
এটি হল্যান্ড রিজ ফার্ম। ফুলের এই বাগানটি নিউজার্সিতে অবস্থিত। নিউইয়র্ক শহর থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত এই বাগানটির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। শুধু নিউজার্সি নয়, এমন টিউলিপ আর চেরি ফুলের অভাবনীয় রূপ দেখা যাচ্ছে ব্রুকলিন বোটানিক্যাল গার্ডেন, ব্রঙ্কস বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থানে। বাহারি রঙের টিউলিপ ও চেরি ফুলে ভরে উঠেছে সড়কের নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইল্যান্ডগুলো।
পৃথিবীতে প্রকৃতির বুকে যত ফুল ফোটে, তার মধ্যে চেরি ও টিউলিপ খুবই প্রভাব বিস্তারকারী দুটি ফুল। মানুষ এ ফুল ফোটাকে ঘিরে চেরি উৎসব পালন করে। চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় নানান উৎসব।
এসব চেরি ও টিউলিপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন মানুষ। ভোরে সাইকেল চালিয়ে কিংবা বেলা পেরিয়ে বিকেল গড়ালে হাঁটতে হাঁটতে অথবা ট্যুরিস্ট গাড়িতে করে চেরি ও টিউলিপের সৌন্দর্য নিতে দেখা যায় দূর দূরান্ত থেকে আসা সৌন্দর্য পিপাসুদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মার্চের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে ওকাম চেরি গাছে চেরি ফুল ফুটতে শুরু করে। তারপরে ইয়োশিনো চেরি এবং শেষ পর্যায় কোয়ানজান চেরি গাছ। যেগুলোতে গোলাপি টিউলিপ ফুল রয়েছে আর ফোটে পুরো এপ্রিল জুড়ে।
ব্রুকলিন বোটানিক্যাল গার্ডেন সূত্র জানায়, বর্তমানে বেশিরভাগ চেরি ফুল প্রি-ব্লুম পর্যায়ে রয়েছে। ব্রঙ্কসের বোটানিক্যাল গার্ডেনের চেরি ও টিউলিপ ফুলগুলো বর্তমানে ফুটতে শুরু করেছে।
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত