ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যাবহার করে যেসব অপকর্ম হচ্ছে এগুলো দুর্বৃত্তের কাজ। এই দুর্বৃত্তরা দলের নাম ব্যাবহার করে। এদের পরিচয় এরা দুর্বৃত্ত। এদের আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনে থাকার অধিকার নেই। অপকর্মকারীদের শেখ হাসিনা ছাড় দেন না। প্রমাণ আছে না? বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ পরিচয়ে রক্ষা পেয়েছে? বুয়েটের আবরার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছাত্রলীগ পরিচয়ে তারা ছাড় পেয়েছে? এদের কি বিচার হয়নি? বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,
আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি, এদের দল থেকে বহিষ্কার করলে হবে না, এদেরকে আইনের আওতায় আনুন। এই গুটিকয়েক দুর্বৃত্তের জন্য আওয়ামী লীগের বদনাম হতে পারে না। যারা অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধেও খেলা হবে।
তিনি বলেন, অর্থ পাচারকারীরা সাবধান। শেখ হাসিনা কঠোর হচ্ছেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা অন্যায় করবেন, অপরাধ করবেন দলের পরিচয় ব্যাবহার করে, তাদের ছাড় নেই। আমি আবারো তাদের সতর্ক করছি। আমরা এতো উন্নয়ন করছি আর গুটিকয়েক অপকর্ম করে সেটা ম্লান করবে সেটা আমরা হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্লোগান এনে লাভ নাই। একেবারেই ভুলে যান। ওই অস্বাভাবিক সরকার অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশের আসবে না ইনশাল্লাহ।
সরকার কেন পদত্যাগ করবেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামা বাড়ির আবদার। কোন দোষে সরকার পদত্যাগ করবে। কি কারণে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করবে। কারণটা কি? হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেককে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? ওই খাম্বা সরদার, ক্ষমতায় বসবে? বাংলাদেশের মানুষ এই খাম্বা সরদার অর্থাৎ প্রচারকারীকে এ দেশের ক্ষমতার মঞ্চে আর বসতে দেবে না। ভুলে যান ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। কত দুর্নীতি করেছেন ভুলে গেছেন।
বছরব্যাপী প্রোগ্রাম জানিয়ে সেতু মন্ত্রী বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। প্রতিদিনই প্রোগ্রাম হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় হবে। কখনো সম্মেলন হবে। কখনো গণসংযোগ হবে, কখনো শান্তির সমাবেশ হবে, কখনো সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে, আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। জনগণের ঘরে ঘরে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কাউকে নামতে দেব না। এ কথা বলবেন না। সবাই নামবে। রাজপথ সবার। রাস্তা সবার কিন্তু রাস্তায় নামবে ১৩ /১৪ সালের মতো ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, অগ্নি সন্ত্রাস করতে রাস্তায় নামবেন। সরকারি অফিস পোড়াবেন। রিকশা ড্রাইভার বাস ড্রাইভার পুড়িয়ে মারবেন, তা হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।