মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আরো একদিন রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে পরীমণিকে তৃতীয় ধাপে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেয়া হলো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদশর্ক কাজী গোলাম মোস্তফা বুধবার (১৮ আগস্ট) ৫ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আজ সেই আবেদনের শুনানি হয়।
দ্বিতীয় ধাপে দুদিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) পরীমনিকে আদালতে হাজির করে সিআইডি। সেদিন পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত সোমবার (১৬ আগস্ট) আবারো পরীমনির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল গতকাল বুধবার (১৮ আগস্ট)।
কিন্তু শুনানি শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো পাঁচ দিনের রিমান্ডের প্রয়োজন। আদালত আজ এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে পরীমনিকে প্রথমবার চার দিন ও দ্বিতীয় বার দুদিন রিমান্ডে নিয়েছিলো সিআইডি।
৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যািব। তাঁর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানানো হয়,৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর র্যারব গোপন সংবাদ পায়, বনানীর একটি বাসায় পরীমণি তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। তার বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এছাড়া পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ এবং এক ব্লট এলএসডি মাদকজব্দ করা হয়।
পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা। পরীমনি এসব মাদক কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে যোগাড় করাতেন। র্যা ব আরো বলেছে, পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেনেছে, প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজও পরীমণিকে মাদক সরবরাহ করতো। তবে পরীমনি ও তাঁর আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।