মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য পৃথিবীতে বাঙালিই জীবন দিয়েছে। এ ভাষার অধিকার আদায়ের বোধ থেকেই বাঙালির স্বাধীনতার অধিকার জাগ্রত হয়। বাঙালি বুঝতে পারে যে পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে পারে তারা আমাদের কোন অধিকার দিতে পারবে না। বাস্তবেও এটিই দেখা গেছে। তারা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জনতার দেয়া রায়ের প্রতি পাকিস্তানিরা শ্রদ্ধা দেখায়নি। তাই যেভাবে ভাষার অধিকার বাঙালি আদায় করেছিল, সেভাবেই স্বাধীনতা আদায় করেছে। এ জন্য বলা হয় ‘ভাষা থেকেই স্বাধীনতা’।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।