বিদেশি সব চ্যানেল সাত দিনের মধ্যে পুনরায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
নোটিশে একইসঙ্গে বিদেশি চ্যানেলের ক্ষেত্রে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) সম্প্রচার চালু করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার তথ্য সচিব মকবুল হোসেন ও কোয়াব সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এস এম সামসুর রহমান শিমুলকে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিদেশি চ্যানেলগুলো কীভাবে ক্লিন ফিড সম্প্রচার করা যায় সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা না করে সম্প্রচার বন্ধের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার জন্য প্রয়োজনীয় ফি দিয়েও দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিনোদনের অভাব দেখা দিয়েছে, যা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান খুবই নিম্ন। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিনোদনের স্বাদ নিয়ে থাকে। বিদেশি চ্যানেল বন্ধের ফলে বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে শিশুরা কার্টুন, নারীরা রান্নার অনুষ্ঠান ও সিরিয়াল এবং পুরুষরা সংবাদ, খেলা ও রিয়েলিটি শো দেখতে না পারছেন না।
নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে সব বিদেশি চ্যানেল পুনরায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশি চ্যানেলের ক্ষেত্রে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) সম্প্রচার চালু করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলেও ক্লিন ফিড সম্প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রচলিত আইন অনুসারে হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল কনটেন্টের সঙ্গে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না- সরকারের তরফ থেকে এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিদেশি সব টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে কেবল অপারেটররা।