নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম আবারও রাশিয়া থেকে ভারতে ট্রানজিট হয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
শনিবার (৪ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে রাশিয়ান পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বাংলার জাহাজ ‘এমভি অপরাজিতা’।
এরপর মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে জাহাজটি। জাহাজটিতে পারমানবিক কেন্দ্রের জন্য মোট ১ হাজার ২০০ মেট্রিকটন বিভিন্ন মেশিনারিজ পণ্য বহন করে।
শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইসেন্সের পরিচালক এইচ এম দুলাল বলেন, রাশিয়া থেকে আসা ৫২৫ প্যাকেজের এক হাজার ২০০ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে এসেছে জাহাজটি। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে রাশিয়া থেকে এই পণ্য জাহাজে লোড হয়। পরে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে জাহাজটি ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ট্রানজিট হয়ে মোংলা বন্দরে আসে।
জানা গেছে, দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় নোঙর করা জাহাজের ওই পণ্য ইতোমধ্যে খালাস শুরু হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে পুরোপুরি খালাস শেষ করে সড়ক পথে ঈশ্বরদী নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ পতাকাবাহী অপরাজিতা জাহাজে ৯৮৯ প্যাকেজের এক হাজার ৬৯০ মেট্রিকটন এবং তার আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৪৮ মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে মোংলায় নোঙর করে আরেক বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি সেজুতি’। ওই জাহাজের পণ্য আগেই খালাস শেষ করে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রাশিয়ার পণ্য পরিবহনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সম্প্রতি। এর ফলে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত পণ্য খালাস হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে বাংলাদেশি জাহাজে করে পণ্য আনা হয় বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে এখন প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি জাহাজ নোঙর করে মালামাল খালাস করতে পারছে। ফলে বন্দরের রাজস্ব বহুগুণ বেড়েছে।