আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাস

বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের ইতিহাস

পাকিস্তানকে ক্রিকেটের থেকেও কেনও বেশি আনপ্রেডিক্টেবল বলা হয়ে থাকে তার প্রমাণ হাড়ে হাড়ে টের পেলো ভারত। যেখানে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা ১২ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি পাকিস্তান। সেখানে ১৩তম ম্যাচে এসে ভারতকে হারিয়ে অধরা জয় তুলে নিলো পাকিস্তান। এ ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বাবর আজম। তাকে যোগ্য সহায়তা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন উদ্বোধনী জুটিতে ভারতকে ১০ উইকেটে পরাজিত করে মেন ইন গ্রীনরা।

রোববার (২৪ অক্টোবর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে রোহিত শর্মাকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শাহিন আফ্রিদি। পরের ওভারে ইমাদ ওয়াসিম দেন ৪ রান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে আবার আফ্রিদির আঘাত। এবার বোল্ড হয়ে ৩ রান করে ফেরেন লোকেশ রাহুল।

তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক কোহলি-সূর্য্যকুমার যাদবকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু দলীয় ৩১ রানে হাসান আলীর বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন যাদব। যাদব করেন ৮ বলে ১১ রান। চতুর্থ উইকেটে ঋষভ পান্তকে নিয়ে ৫৩ রানে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন অধিনায়ক কোহলি। দলীয় ৮৪ রানে শাদাব খানের বলে তার কাছেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পান্ত। তার আগে অবশ্য ৩০ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করেন।

পঞ্চম উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে অধিনায়ক কোহলি গড়েন ৪১ রানের জুটি। দলীয় ১২৫ রানে হাসান আলী বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৩ বলে ১৩ রান করা জাদেজা। ৬ষ্ঠ উইকেটে আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। তার আগে অবশ্য ৪৯ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে ৫টি চার ও একটি ছয়ের মার ছিল।

কোহলিরও বিদায়ের পর দলীয় ১৪৬ রানে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক আজমের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচে প্রথম উইকেট তুলে নেন হারিস রউফ। শেষ দিকে ভুবনেশ্বর কুমর ৪ বলে ৫ রান করলে ভারতের দলীয় স্কোর ১৫১ রানে গিয়ে থামে।

পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩টি, হাসান আলী ২টি, শাদাব খান ও হারিস রউফ একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিশ্বকাপে | ভারতকে | হারিয়ে | পাকিস্তানের | ইতিহাস