চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা কারখানায় না জানিয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের চালানো অভিযানে অসন্তোষ হয়েছেন কারখানার মালিকেরা।
মঙ্গলবারে চালানো অভিযানে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে চারটি জাহাজভাঙা কারখানার নথি ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। আর এর প্রতিবাদে সব কটি কারখানায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে জাহাজভাঙা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেন। সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিএসবিআরএর সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম জানান, আমরা সবধরনের অগ্রিম ভ্যাট-ট্যাক্স দেই। আমাদেরকে ডাকলেও আমরা যাই। কিন্তু আমাদেরকে না জানিয়ে সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা কারখানায় এসে অভিযান চালিয়েছে তারা। আর এতেই মালিকপক্ষ মনোক্ষুন্ন হয়ে আজ থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।
নাজমুল ইসলাম আরো বলেন, পূর্ব ঘোষণা কিংবা কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই মঙ্গলবার চারটি কারখানায় অভিযান চালায়, কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের গঠিত তিনটি দল। তারা একযোগে পৃথক পৃথক জাহাজভাঙা কারখানায় গিয়ে কারখানার নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়ে যান। অভিযানের সময় কর্মকর্তারা এক রকম তাণ্ডব চালিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ হতভম্ব।
তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদেই সীতাকুণ্ডে সব কটি জাহাজভাঙা কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিএসবিআরএ।
বিএসবিআরএ থেকে পাওয়া তথ্য, সীতাকুণ্ডের উপকূলে মোট ১৫০টি জাহাজভাঙা কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে সচল কারখানার সংখ্যা ৬০টি।
মুক্তা মাহমুদ