আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

ইইউয়ে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের ৯৭ ভাগই প্রত্যাখ্যান

ইইউয়ে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের ৯৭ ভাগই প্রত্যাখ্যান

সভ্যতার বিবর্তনে দীর্ঘদিন ধরেই অভিবাসন প্রক্রিয়া চলছে বৈরী আবহাওয়া, দুর্যোগ, যুদ্ধবিগ্রহ নানা কারণে। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিজ দেশ ছেড়ে উন্নত দেশে উড়াল দেয় অভিবাসনপ্রত্যাশিরা। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসীদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। প্রতি বছর ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেয় লাখ লাখ অভিবাসী।

প্রতি বছর ইইউর উদ্দেশে পাড়ি দেয় বাংলাদেশিরাও। ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে অভিবাসী আশ্রয় (এসাইলাম) আবেদন করে ১১ হাজার ২৬৯ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে শরণার্থী হিসেবে মাত্র ৩৭৪ জনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়। ৮৭ জনকে সাবসিডিয়ারি প্রটেকশনের আওতায় আবেদন গ্রহণ করা হয়। মোট নয় হাজার ২৩৯ জন বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদনকারীকে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। বর্তমানে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে প্রায় ১৩ হাজার ৩২টি আবেদন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আশ্রয় আবেদন করে চার লাখ ৬১ হাজার ৩শ’ জন অভিবাসী। তবে তা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩১ ভাগকম। এদের বেশিরভাগই সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইরাক এবং পাকিস্তানের নাগরিক। সাব-কন্টিনেন্টে বাংলাদেশের পরই আছে ভারত ও নেপালের অবস্থান। উক্ত আবেদনের ৩২ ভাগ আবেদন মঞ্জুর করা হয়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩ দশমিক ৩ ভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের প্রায় ৯৭ শতাংশ আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।

পরে দেখা যায়, এসব অভিবাসী ইউরোপের যে দেশে আশ্রয় আবেদন করেছে সেখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অন্য দেশে পাড়ি জমায়। সীমান্তে চেকিং না থাকায় খুব সহজেই অন্য দেশে যায় তারা। এক সময় স্বপ্নের ইউরোপ ছেড়ে দেশে ফিরতে হয়। কারণ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ইউরোপে থাকা সম্ভব হয় না।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইইউয়ে | বাংলাদেশিদের | আশ্রয় | আবেদনের | ৯৭ | ভাগই | প্রত্যাখ্যান