গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্যানেল মেয়রের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর)স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ভূয়া দরপত্র, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতি বছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ভূমি দখল ও ক্ষতি পূরণ ব্যতিত রাস্তা প্রশস্ত করা সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগটির বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মতামত জানতে চাওয়া হলেও অদ্যাবধি কোনও ধরনের মতামত প্রদান করা হয়নি।
এই সকল অভিযোগসমুহ ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধি-নিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের শামিল, যা সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে অভিযোগসমুহের তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
এতে আরও বলা হয়, সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯’র ধারা ১২(২) অনুযায়ী এই আদেশ পাওয়ার ৩ (তিন) দিনের মধ্যে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র ক্রমানুসারে মেয়র প্যানেলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছে নিজ দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
এদিকে, গাজীপুর সিটি করপোশেনের ৩ সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেলো শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একটি ভাইরাল অডিওতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয় গাজীপুরে। এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরকে শোকজ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপর থেকেই মেয়র পদ হারাচ্ছেন জাহাঙ্গীর- এমন আলোচনা শুরু হয়।
