আমাদের মহাবিশ্বের কোন শুরু বা শেষ নেই। বিগ ব্যাং এর পর থেকেই এটি ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর মহাবিশ্বের আকার সম্পর্কে চিন্তা করা মানুষের ছোট্ট মস্তিষ্কের জন্য কঠিন। কারণ বলে শেষ করে যাবে না,
তবে বেশকটি বিষয় পর্যালোচনা করলে বিষয়টি বেশ পরিস্কার। বিজ্ঞান বলছে সুর্য পৃথিবী থেকে ১৩ লাখ গুন বড়।
সূর্যের চেয়ে বড় ব্যাটেল জিউস নামে একটি তারা। এটি সূর্যের চেয়ে ৩৩ কোটি গুণ বড়।
বিজ্ঞানের জানানো সবশেষ তথ্য বলছে, প্রক্সিমা সেনট্রাই, আলফা সেন্ট্রাই, ব্যাটেল জিউসের মত ৫০০ বিলিয়ন তারকা নিয়ে গঠিত হয়েছে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ।
এমন কোটি কোটি গ্যালাক্সির তথ্য জানিয়েছে বিজ্ঞান।
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রতগামী যান Apollo 11.। এটি সেকেন্ডে ১১ কিঃমিঃ বেগে চলে। সেই হিসেব এক মিনিটে চলে ৬৬০ কিঃ মিঃ। ঘন্টায় হিসেব করলে সেই পথ হয় ৩৯ হাজার কিলোমিটার।
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের তারকা প্রক্সিমা সেন্ট্রাই। এই তারায় Apollo 11 তে চড়ে যেতে সময় লাগবে ১ লাখ ১৫ হাজার বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটা সম্ভব নয় ।
গ্যালাক্সি, সুপার নোভা, ব্লাক হোল এগুলো প্রথম আকাশ নয়, প্রথম আকাশের মহাশুন্য।
এই মহাশূন্য পার হওয়ার পর প্রথম আকাশ। প্রথম আকাশ থেকে দ্বিতীয় আকাশের দূরত্ব ৫০০ বছরের পথ। তারপর ২য় আকাশের মহাশুন্য। এরপর দ্বিতীয় আকাশ। ঠিক এরকম সাতটি আকাশ রয়েছে। বিভিন্ন হাদিস সমূহে উল্লেখ আছে এক আকাশ থেকে আরেক আকাশের দূরত্ব ৫০০ বছরের পথ।
বিশ্ব নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমার আংটি যদি সাহারা মরুভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়, বিশাল মরুভূমির তুলনায় আংটিটা যত ছোট, আল্লাহর দ্বিতীয় আকাশের তুলনায় ১ম আকাশ ততো ছোট।
আল্লাহর সিংহাসন সম্পর্কে বলা হয়েছে সিংহাসনের উপর যদি সাতটি আসমান, সাত জমিন রাখা হয়, বিশাল মরুভূমিতে আংটি ফেলে দিলে যেমন হারিয়ে যাবে, তেমনি সাত আসমান, সাত জমিনও হারিয়ে যাবে।