বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়ে এবং দেশের সর্বোত্তম চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়ে সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার দিনে জন্মদিন না হওয়া সত্বেও কেবল কষ্ট দেওয়ার জন্য জন্মদিন পালনের মত অমানবিক অপরাধের অভিযোগও রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আমাদের কাছে কী আশা করছে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে এবং দেশের সেরা হাসপাতালে অবাধে চিকিৎসা নিতে দিয়েছি। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? আমরা এটা (উদারতা) দেখিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার লক্ষ্যে প্রস্তুত করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুবসমাজ সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সেজন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারটা যুবসমাজকে উৎসর্গ করেই তৈরী হয়েছে- ‘তারুণ্যের উন্নতি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য তারুণ্যের শক্তিটাকেই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি এবং তরুণ সমাজকে আমরা তৈরী করতে চেয়েছি ভবিষ্যত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। শিক্ষায়-দীক্ষায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে এই তরুণ সমাজই আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রগতিশীল ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের মত বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে যদি যুবলীগ গড়ে উঠতে পারে তাহলে এদেশের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল। আর আমরা যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি করেছি, সে মতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশের পথে যাবার পরিকল্পনা রূপকল্প ২০৪১ তার সরকার করে দিয়েছে। সেটা ধরে এগিয়ে গেলে পরে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছাবে এবং প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমরা চাই।
