লোডশেডিং-এ জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী জ্বালানি ক্রয়ে চুক্তি করেছি। অন্য কয়েকটি দেশের সাথেও একই ধরনের চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য ভালো যে আমরা কাতার ও ওমানের সাথে চুক্তি করেছি। আমরা অন্যান্য কিছু দেশের সাথে এ নিয়ে কাজ করছি যাতে আমরা গ্যাস ক্রয় করে দেশে আনতে পারি এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতেপারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু, মূল্যবৃদ্ধির কারণে তেল ও গ্যাস ও কয়লার ঘাটতি থাকায় জনগণকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব আমাদের আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধি না ঘটলে জনগণকে কখনোই জ্বালানির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানতেন যে জনগণের জন্য লোডশেডিং সহ্য করা কঠিন হবে। তাই তার সরকার সফলভাবে এর সমাপ্তি টেনেছিল। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতি এটি ঘটতে বাধ্য করেছে।
তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, খালেদা জিয়ার সরকার কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনকারী ১৮ কৃষককে এবং রমজান মাসে উপযুক্ত মজুরির দাবিতে আন্দোলনকারী ১৭ জন শ্রমিককে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাজেট পাশের আগে কেউ কেউ বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু, আমরা প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘(বাজেট সম্পর্কে) কে কি বলছে তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার জন্য আমরা একটি উপযুক্ত বাজেট ঘোষণা করেছি।’