আমেরিকার ভিসা নীতিতে ভালোই হয়েছে। এখন যদি বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করে, তবে আমেরিকার ভিসা পাবে না। যাদের কথায় নাচে তারাই খাবে। জনগণের ক্ষমতায় তারা বিশ্বাস করে না। তারা অন্যের কাছে ধরনা দেয়। তারা মনে করে অন্যরা তাদের ক্ষমতায় বাসিয়ে দেবে। কেউ ভোটাধিকার কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। বিদেশি চাপ যতই আসুক দেশের মানুষ নতি স্বীকার করবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেখানে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে; সেখানে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষা করেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন মানুষের মুক্তির জন্য, মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেওয়ার জন্য। পাকিস্তানি শাসকদের আমলে বাঙালিদের কোনো অধিকার ছিল না। চিরদিন অবহেলিত ছিলাম আমরা। অথচ পাকিস্তান সৃষ্টিই হয়েছিল এই বাঙালিদের দ্বারা। কিন্তু সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। পাকিস্তানি দ্বারা আমরা ছিলাম শোষিত, বঞ্চিত। যতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশ থেকে হতো, অথচ এই অর্থ ব্যবহার হতো পশ্চিম পাকিস্তানে।
তিনি বলেন, ছয় দফার পেশ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। প্রেস কনফারেন্স করে এটা বলে আসেন এবং তার (বঙ্গবন্ধু) ওপর হামলাও করা হয়েছিল। ঢাকায় ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রেস কনফারেন্স করেন। ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে একটা পাস করানো হয়। কাউন্সিল ডেকে কাউন্সিলে একটা পাস করানো হয়। মাত্র কয়েক মাসে সারা বাংলাদেশ ঘুরে ছয় দফার ব্যাপক প্রচার করেন। যে কোনো একটা দাবি এত অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মধ্যে সাড়া জাগানো, এটা ছিল একটা অভূতপূর্ব ঘটনা। যেটা ছয় দফার ব্যাপারে হয়েছিল।