আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমজমাট লড়াই ছিলো পুরো ম্যাচ জুড়ে। উভয় পক্ষই সুযোগ পেলো অনেক। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলো খুবই কম। ম্যাচের শুরুতে পাওয়া গোলে দারুণ জয়ের সম্ভাবনা জাগালো অলিম্পিক লিওঁ। কিন্তু ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না তারা। শেষ দিকে এসে হার এড়ালো পিএসজি।
করোনা জয় করে এখনো মাঠে ফেরেননি লিওনেল মেসি। ইনজুরিতে থাকায় খেলতে পারেননি নেইমার জুনিয়রও। আর এই দুই তারকাকে ছাড়া ফের পয়েন্ট খোয়াল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। রোববার (০৯ জানুয়ারি) রাতের ম্যাচে পিছিয়ে পড়া পিএসজি কোনোরকমে মাঠ ছেড়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।
ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। লিগ টপারদের টপকে ম্যাচে এগিয়ে যায় লিওঁ। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি নাভাস।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুই দলই বেশকিছু গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। তবে সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিংয়ের দূর্বলতা ম্যাচে ফেরাচ্ছিল না পিএসজিকে। অনেক চেষ্টার পর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি।
ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় বল পেয়ে টিলো কেরারের নিচু শট পা বাড়িয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন গোলরক্ষক, তার পায়ে লেগেই বল চলে যায় জালে। তিন মিনিট পর ফের এগিয়ে যেতে পারতো লিওঁ। তবে ডান দিক থেকে রায়ান চের্কির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিবাদে আবারো এমবাপের পথে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে। বাঁ দিক থেকে তার বাঁকানো ফ্রি কিক দূরের পোস্টে লাগে। নির্ধারিত সময়ে গোলের উদ্দেশ্যে ১৫টি শট নেয় পিএসজি। লক্ষ্যে ছিল অবশ্য মাত্র তিনটি। লিওঁর নেওয়া ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিলো।
লিগে এই নিয়ে শেষ পাঁচ রাউন্ডে চারটিতে পয়েন্ট হারাল মারিও পচেত্তিনোর দল। পয়েন্ট খোয়ানোর এমন ধারাবাহিকতার পরেও অবশ্য লিগ ওয়ানের শীর্ষে পিএসজি। ২০ ম্যাচে ১৪ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৭। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিস। ১৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে লিওঁ।
হাসিব মোহাম্মদ