বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে সালাদ না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর-কনেপক্ষের সংঘর্ষ ও ৩ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যায় ছেলেপক্ষ। সেখানে খাওয়ার সময় পরিবেশিত খাবারের সঙ্গে সালাদ না দেয়া নিয়ে কনেপক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বরপক্ষের।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে কনেপক্ষের প্রতিবেশিরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে, আহতদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম জানান, আহত দুইজনকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সামান্য সালাদ না দেয়ার কারণে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, এটা আসলে কারো কাম্য নয়।
বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আহতদের মধ্যে রফিক ও মিজান নামের দুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনসালাদ | দেয়ায় | বরকনেপক্ষের | সংঘর্ষ | আহত | ১৫
