আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আ.লীগের সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা

ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে আ.লীগের সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ডাকা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও সমাবেশ শুরু হয়নি। দুপুর আড়াইটার পর থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। এ সময় মঞ্চ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। সমাবেশ শেষে একটি র‍্যালি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মানতে হবে যে ২৩ শর্ত এ সমাবেশ আয়োজনের জন্য আওয়ামী লীগকে ২৩টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শর্তগুলো হলো : (১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। (২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে। (৩) অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। (৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। (৫) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। (৬) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। (৭) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। (৮) শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। (৯) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না। (১০) অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না। (১১) আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দ যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। (১২) ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন/বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। (১৩) সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। (১৪) সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে। (১৫) অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। (১৬) কোনও অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। (১৭) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। (১৮) রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। (১৯) উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। (২০) কোনও ধরনের লাঠি-সোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না। (২১) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। (২২) উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। (২৩) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইঞ্জিনিয়ার | ইনস্টিটিউটে | আলীগের | সমাবেশে | জড়ো | হচ্ছেন | নেতাকর্মীরা