আর্কাইভ থেকে জাতীয়

চার খাতে দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন : পলক

চার খাতে দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন : পলক
স্মার্ট অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়তে চার খাতে দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই চারটি সম্মুখসারির প্রযুক্তিতে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বলেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিপিও সামিট-২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দেশের আইটি খাতের ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) যৌথ উদ্যোগে এ সামিট আয়োজন করা হয়। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবটিক্স, মাইক্রোচিপস ডিজাইনিং ও সাইবার নিরাপত্তা খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা গেলে আগামী ১৮ বছরের মধ্যে স্মার্ট অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই চারটি সম্মুখসারির প্রযুক্তিতে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমাদের সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা কেবল ঢাকায় নয়, উপজেলা ও ইউনিয়নে বসেও কাজ করতে পারছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সহজলভ্য করে দিয়েছেন। এখন আমাদের সামনে যে লক্ষ্যমাত্রা ও চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে হলে সময়কে তিনভাগে ভাগ করে এগোতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যমেয়াদি ও ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন করতে চাই। এ জন্য আমাদের পাঠ্যসূচিকে কর্মমুখী করতে চাচ্ছি। আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোডিংকে পরিচিত করাচ্ছি এবং সমস্যার সমাধানে দক্ষতা তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছি। কারণ, কোডিং ও প্রোগ্রামিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে দিতে পারবে। কিন্তু আমাদের শিশুরা যদি সমস্যা সমাধানের মৌলিক ধারণা নিয়ে বড় হতে পারে, তাহলে জীবনে সে যেখানেই যাবে, সেখানে সমস্যা তৈরি না করে সমস্যা নিরসনে কাজ করতে পারবে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার করছি। জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের সঙ্গী হয়ে গেছে। গ্রামে যখন পড়েছি, তখন ভালো ইংরেজি বলতে পারতাম না। এখন কৃত্রিম বুদ্ধির মাধ্যমে ইংরেজি বক্তব্য তৈরি করা কিংবা ইংরেজি বক্তব্যের বাংলা করা যায়। কেবল ইংরেজিই না, অন্যান্য ভাষার বাধাও দূর করে দিয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চার | খাতে | দক্ষ | মানবসম্পদ | প্রয়োজন | | পলক