আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪
যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছিলেন রেল পুলিশ (আরপিএফ)-এর এক কর্মী। আর সেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই চলন্ত ট্রেনে চার যাত্রীকে হত্যা করলেন তিনি। নিহত চার জনের মধ্যে রেল পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং ট্রেনটির প্যান্ট্রি কারের এক কর্মীও রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩১ জুলাই) রাজস্থানের জয়পুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের উদ্দেশে যাওয়া জয়পুর এক্সপ্রেসে (১২৯৫৬)। রেল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে যখন ট্রেনটি পালঘর স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় হঠাৎই নিজের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চেতন সিংহ। সংবাদ সংস্থা এএনআই পশ্চিম রেল কতৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যা করার পরেই পালঘরের পরের স্টেশন দাহিসারে ট্রেনের চেন টেনে এবং ঝাঁপ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন তিনি। তার আগেই অবশ্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কী কারণে ওই আরপিএফ কর্মী এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ওই আরপিএফ কর্মকর্তার পূর্ব পরিচিত হলেও, কারও সঙ্গেই বিবাদ ছিল না তার। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না অভিযুক্ত ব্যক্তি। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইছিলেন। তাকে কয়েক দিন বিশ্রাম নেয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, একদম সুস্থ রয়েছেন তিনি। ওই ঘটনার পর ট্রেনটিকে বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দেহগুলিকে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেদকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জিআরপির কমিশনের রবীন্দ্র শিসভে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।   সূত্র: আনন্দবাজার  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ট্রেনে | নিরাপত্তাকর্মীর | গুলিতে | পুলিশ | কর্মকর্তাসহ | নিহত | ৪