আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে সকালের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি, ক্ষতির সঙ্কায় কৃষক

কুড়িগ্রামে সকালের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি, ক্ষতির সঙ্কায় কৃষক

কুড়িগ্রামে গত দু’দিন ধরে চলছে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার (৩০ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা জুড়ে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। এদিকে তীব্র শীতের কারণে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি হবে। আলুতে লেট ব্লাইডের আক্রমন হতে পারে। এছাড়াও বোরা বীজতলা লালচে হয়ে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে পারে। কৃষকরা ইতিমধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমির উপরে প্লান্টেশন শুরু করেছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আলুর খেতে ছত্রাক নাশক স্প্রে করার কম্পোজিশন কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। আগামি ৩১ জানুয়ারি জেলার বিভিন্ন জায়গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থাকায় লোকবল সেখানে সম্পৃক্ত থাকায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হাতে আসেনি। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। 

এদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, শীতজনিত কারণে শিশুরা যাতে সমস্যায় না পরে এজন্য গরম কাপড়ে ঢেকে রাখতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সুষম খাবার দিতে হবে। ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন অব্যাহত রাখতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অপরদিকে, ঘন কূয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না অনেকেই। সড়কগুলোতে কমে গেছে যানবাহনসহ কর্মজীবী মানুষের আনাগোনা। 

সকাল থেকে কুয়াশার সঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়েও চলতে দেখা যায়। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও পরেছে শীতকষ্টে। অতিরিক্ত শীতের প্রকোপে দেখা দিয়েছে সর্দি-কাশিসহ নানা ঠাণ্ডাজনিত রোগ। 

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুড়িগ্রামে | সকালের | তাপমাত্রা | ৭ | ডিগ্রি | ক্ষতির | সঙ্কায় | কৃষক