আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ঢাবি’র আরও একজনের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ

ঢাবি’র আরও একজনের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতের এ অভিযোগ উঠে।

এ ব্যাপারে বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (০৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবার তারা এ অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগের সঙ্গে প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির কয়েকটি কপিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘পার্টিসিপেশন অব উইমেন ইন অ্যাকুয়াকালচার ইন থ্রি কোস্টাল ডিসট্রিক অব বাংলাদেশ : অ্যাপ্রোচেস টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল লাইভলিহুড’ শিরোনামে ১৫ পৃষ্ঠার গবেষণা নিবন্ধটি চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার সফটওয়্যার টার্নইটইনে যাচাই করে দেখা যায়, ৮৮ শতাংশ অন্য প্রকাশনার সঙ্গে মিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা ড. সাদেকা হালিমের প্রকাশিত কিছু প্রবন্ধের প্লেজারিজম ধরা পড়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কয়েকদিন ধরে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশের শিক্ষায়তনিক পরিসরে দৃষ্টিগোচর হয়েছে, বিভিন্ন পরিসরে সেগুলো সমালোচনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এতে দেশের অনেকেই উদ্বিগ্ন। অভিযোগপত্রে এই বিষয়টি সুরাহার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ বলেন, সাদেকা হালিমের গবেষণা চৌর্যবৃত্তির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমাদের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষকদের জন্য লজ্জার। একজন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই বিষয়টি জানিয়েছি। তার কাছে দাবি করেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও জানি না। আমাকে ভিসি স্যার কিছু জানাননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও খুলে দেখিনি। আমি এ বিষয়টি দেখবো।’

এর আগে গত গত ২৮ জানুয়ারি একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ঢাবির | আরও | একজনের | বিরুদ্ধে | গবেষণা | চুরির | অভিযোগ