দেশের সাত জেলা ও এক উপজেলায় বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তুমুল বৃষ্টির পর তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েই বইছে এ শৈত্যপ্রবাহ। আগামী দিনগুলোতে শীত আরও বেড়ে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
গেল ২৮ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছিলো। ৬ দিনের ব্যবধানে তা গেল ৩ ফেব্রুয়ারি দূরও হয়ে যায়। এরপরই দেশজুড়ে দেখা দেয় ঝড়-বৃষ্টি। বর্ষাকালের মতো বজ্র-বৃষ্টি হয় গেল শুক্রবার। বৃষ্টির প্রবণতা কমতেই বেড়ে গেছে শীত। ফের বইছে শৈত্যপ্রবাহ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) মাঘ মাসের ২৩ তারিখ। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১ দশমি এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে হয়েছে চার দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক দুই থেকে কমে হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিও হয়েছে তেঁতুলিয়ায় (১৫ মিলিমিটার)। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আপাতত আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আজ সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মোটামুটি রৌদ্রজ্জ্বল। সঙ্গে হালকা মেঘও আছে। গতকাল থেকেই ঢাকায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই এখন জেঁকে বসেছে মাঘের শীত।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুঁড়িগ্রাম, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, মৌলভীবাজার জেলা এবং সীতাকুণ্ডু উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
অনন্যা চৈতী
