খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমরা ছাত্রদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম। তাদেরকে বলেছি তোমরা পড়াশোনা করো। অশিক্ষিত, মূর্খদের হাতে দেশ তুলে দিলে কোনদিন অগ্রযাত্রা হতে পারে না। দেশের উন্নতি হতে পারে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা ও নির্যাতন করেছিল। তারা হাওয়া ভবন খুলে দেশটাকে লুটপাট ও জঙ্গির দেশ বানিয়েছিল। যার ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নাম পর্যন্ত তারা মুছে ফেলেছে। সাত মার্চের ভাষণ এদেশে নিষিদ্ধ ছিল। জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসে স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য। সাত খুনের আসাম সহ অনেকে ক্ষমা করে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর আমি যখন দেশে ফিরি তখন কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি কাউকে ভয় পাইনি, বাবার স্বপ্ন পূরণ করবই।
তিনি লেন, আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করব। সে স্বপ্ন নিয়ে, যে চেতনা নিয়ে আমার পিতা দেশকে স্বাধীন করেছেন তার সেই স্বপ্ন পূরণ করব সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশে ফিরেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগই এ দেশের সব সংকটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। যদি তারা আদর্শ নিয়ে চলতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, শহীদের খাতায় নাম দেখতে চাইলে দেখবো- ছাত্রলীগই বুকের রক্ত দিয়ে সব সংগ্রামে ছিল। এমনকি ৭৫ এর পরে ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় ছিল, অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন ছাত্রলীগই মাঠে নেমেছিল। এ ছাত্রলীগই হচ্ছে সেই শক্তি, যারা একদিন এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।করোনায়ও ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিপদের সময় আমার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাস্তে হাতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। এজন্য তাদের প্রতি আমার অনেক বিশ্বাস এবং আস্থা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেক সংগঠন মানবাধিকারের কথা বলে। ৮১ সালে যখন আমি ফিরে এসেছি, তখন তো আমি মা-বাবা-ভাইবোন হত্যার বিচার চাইতে পারিনি। জিয়াউর রহমান খুনিদের ক্ষমতায় বসায়। প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু কোনো বাধাই আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি বাবার স্বপ্নপূরণ ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে দেশে এসেছি। মাঠের পর মাঠ হেঁটেছি। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছি।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনখালেদা | জিয়া | ছাত্রদলের | হাতে | অস্ত্র | তুলে | দিয়েছিল | | প্রধানমন্ত্রী