ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরেই ‘সবিনয় নিবেদন’ লেখা বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র পৌঁছল মানুষের ফোনে ফোনে। তাতে লেখা, ‘বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পর এবার আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে।’ এভাবেই আজকের বিশেষ দিনে চমকে দিলেন টালিউডের বিখ্যাত দুই শিল্পী প্রসনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
৯০ দশকে যে দু’জনকে কাছাকাছি আসতে দেখলেই দর্শকমন শিহরিত হত, আজ তারাই শুভদৃষ্টি করতে চলেছেন। চিঠির শেষে আবার যুক্ত হয়েছে, ‘ডিজিটাল পত্রদ্বারা নিমন্ত্রণের ত্রুটি মার্জনীয়। ইতি, প্রসনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।’
আজ আর তারা ‘প্রাক্তন’ নন। একে অপরের বর্তমান। গুরুজনদের আশীর্বাদ ও সকলের ভালোবাসা নিয়ে আগামীর পথ চলতে চান প্রসনজিৎ-ঋতুপর্ণা। পাকা দেখা থেকে বিয়ের সব আয়োজনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তার ‘হাট্টিমাটিম’ টিম। বিয়ের ঘটকের দায়িত্বে পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের তত্ত্বাবধানে মোহর ও শর্মিষ্ঠা।
বিয়ে সম্পর্কিত যে কোনও তথ্যের জন্য লজ্জা না পেয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে মোহর বা শর্মিষ্ঠার সঙ্গে। প্রসঙ্গত, প্রসনজিৎ’র পেশাগত সমস্ত কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব মোহরের। একই ভাবে ঋতুপর্ণার ম্যানেজার হলেন শর্মিষ্ঠা।
পরিচালক সম্রাট শর্মা গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক দিন থেকেই পাত্র-পাত্রী খোঁজা হচ্ছিল। বিয়ের মৌসুম, প্রেমের মাস। এ রকম শুভ সংবাদ সবাইকে জানানোর এর থেকে ভাল দিন আর নেই । খুব শিগগিরিই শুভ লগ্ন দেখে বিয়ের তারিখ ঘোষণা হবে।
নতুন চলচ্চিত্র আসছে বাংলার এই হিট জুটির। যেখানে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে তাদের চরিত্ররা। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন সম্রাট শর্মা। তারই প্রচারে খুদে বার্তা গেছে টালিউডের সকলের মোবাইলে। এর বেশি কিছু এখন আর খোলসা করা যাবে না জানিয়ে দিয়েছেন চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা।
অনন্যা চৈতী