হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে সারা ভারত জুড়ে চলছে মাতামাতি । কর্নাটকের পর এবার হিজাব নিষিদ্ধ হলো মধ্যপ্রদেশও। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যটির দাতিয়া জেলার একটি সরকারি কলেজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা মোর্চা ‘দুর্গা বাহিনীর’ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গেলো সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুই কলেজ ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকার পর আন্দোলন শুরু করে ‘দুর্গা বাহিনী’। ঘেরাও করেন কলেজের অধ্যক্ষকে। তাদের দাবি, কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতে হবে। ‘দুর্গা বাহিনীর’ দাবিতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেন।
দাতিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডিআর রাহুল গণমাধ্যমকে জানান, কোনো সম্প্রদায়ের বিশেষ পোশাক পরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। কলেজের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই দেয়া হয়েছে এ নির্দেশ।
এদিকে মধ্যপ্রদেশে হিজাব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই এমনটাই দাবি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের।
কর্নাটক হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন নির্দেশে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত আপাতত সেখানকার ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুল বা কলেজে আসতে পারবেন না। এ ব্যাপারে মঙ্গলবারও একাধিক মামলার শুনানি চলে আদালতে। এরমধ্যেই সামনে এল মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।
হিজাব বিতর্ক দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক থেকে পৌঁছে গিয়েছিলো উত্তরপ্রদেশেও । সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করতে বলেছেন একদল যুবক।
কর্নাটকের কয়েকটি সরকারি স্কুল-কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করা হলে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন মুসলিম ছাত্রীরা। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুই ডজনেরও বেশি যুবকের একটি দল আলীগরের ধর্ম সমাজ কলেজে গিয়ে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়।
ভারতের মুসলমানরা গণমাধ্যমের কাছে জানান, হিজাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা তাদেরকে নিঃশেষ করার আরেকটি উপায়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৫ কোটির কাছাকাছি, এর ১৩ শতাংশ মুসলিম।
অনন্যা চৈতী