ভাইজানখ্যাত সালমানের জীবনে প্রেমের সংখ্যা অগণিত। তাদের মধ্যে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে প্রেম তো ছিল প্রকাশ্য। তবে ঐশ্বরিয়াকেও হার মানালো সালমানের আরেক সাবেক প্রেমিকা সোমি আলি।
সোমি নাকি সালমানকে বিয়ে করতেই পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতে। স্কুলের গন্ডি পেরোনের আগেই সাল্লুর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম সোমি আলির। থাকতেন আমেরিকার ফ্লোরিডায়। শুধুমাত্র সালমানকে বিয়ে করবেন বলে ফ্লোরিডাই ছেড়ে এদেশে চলে এসেছিলেন এ কিশোরি।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে সোমি জানান, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দেখার পর থেকেই সালমানের প্রতি তার গভীর অনুরাগ তৈরি হয়। এক রাতে নাকি স্বপ্নেও দেখেছিলেন তাকে। তখনই সিদ্ধান্ত নেন সালমানকে বিয়ে করতেই হবে, তাই ভারত চলে আসা। ছোট্ট সোমি আসার আগে মা’কে বলে এসেছিলেন সালমানকে বিয়ে করতে মুম্বাই যাচ্ছেন। এখন তার মনে হয়, কিশোর বয়সে নেয়া সেই সিদ্ধান্ত ছিলো শুধুই পাগলামি।
১৯৯১ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পাকিস্তানি এ সুন্দরী। টানা আট বছর প্রেম করেন তারা।
ভারতে এসে বলিউডে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেন সোমি। এরমধ্যে সালমানের সঙ্গে গড়ে উঠে বন্ধুর সম্পর্ক। একবার নেপাল যাওয়ার পথে পাশাপাশি বসে গল্প করার ফাঁকে সালমানকে তার একটি ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, তাকে বিয়ে করতেই বলিউডে আসা সোমির। তখন অবশ্য সালমান তাকে গ্রাহ্য না করলেও বছরখানেক পর নিজেই বলেছিলেন সোমিকে ভালোবাসার কথা।
আট বছর প্রেমের পর সম্পর্কে ইতি ঘটলে আবার ফ্লোরিডা চলে যান সোমি। সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও করেননি কোনা কুৎসা। বরং বলেছেন সালমানসহ তার পরিবার তাকে শিখিয়েছে অনেক কিছু।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন সোমি। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন সাবেক এ অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকে কয়েকটি সিনেমায় দেখা গেছে সোমি আলিকে। রূপালি জগত ছেড়ে বর্তমানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন তিনি। ধর্ষণ, পারিবারিক নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব সময় সরব থাকেন সালমানের এ পাকিস্তানি প্রেমিকা।
অনন্যা চৈতী