স্যালাইনের সোর্স আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোই। স্যালাইন তো আর ভ্যানে বিক্রি হয় না। ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রি হয়। তাহলে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। এটা কিন্তু ডাব বা কাঁচা মরিচ না। সেক্ষেত্রে এমআরপি লেখা আছে ৮৭ বা ৮৮ টাকা। যতক্ষণ মজুত আছে ততক্ষণ সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। স্যালাইন কম আছে আর চাহিদা বেশি আছে এই সুযোগে দাম বাড়ানো যাবে না। বললেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভা কক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, স্যালাইনের গায়ে যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেয়া আছে, তার চেয়ে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। স্পষ্টভাবে এটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে চাই। এরপরও যদি বেশি দামে স্যালাইন বিক্রি হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্যালাইনের মূল্য নিয়ে কোথায় সমস্যা আছে তা আমরা চিহ্নিত করতে চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট এমআরপি বা স্যালাইনের গায়ে যেটা লেখা আছে সেটা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমরা আজ স্যালাইনবিষয়ক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। আপনাদের কথা শুনব, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেয়া যাবে না।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের আইনে আছে ভোক্তা যদি প্রতারিত হয় বা অতিরিক্ত মুনাফা যদি তার কাছ থেকে আদায় করা হয় তাহলে অভিযুক্তরা যারাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।