কানাডায় বসবাসরত শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশটির তিনটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন কানাডীয় শিখরা।
সোমবার রাজধানী অটোয়া-টরন্টো-ভ্যানকুভার— তিন শহরে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন শত শত শিখ ধর্মাবলম্বী।
দেশটির নাগরিক ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর নিহতের পর থেকে কানাডীয় শিখরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন— উল্লেখ করে টরন্টোতে বসবাসরত শিখ কমিউনিটির সদস্য জয় সিং হোথা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাড়ি পাঞ্জাবে। সেখানে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে এখানে এসে স্থায়ী হয়েছি। এখন দেখা যাচ্ছে— আমরা এখানেও নিরাপদ নই।’
বিক্ষোভকারী হারপাল সিং গোসাল বলেন, ‘ভারতীয়রা সন্ত্রাসী। তারা ভ্যানকুভারে আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী (জাস্টিন ট্রুডো) পার্লামেন্টে যা বলেছেন, তাতে আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা অবিলম্বের এই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ভারতের পরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিখ বসবাস করেন কানাডায়। দেশটির ২০২১ সালের জনশুমারির তথ্য বলছে, প্রায় ৮ লাখ শিখ ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন কানডায়।
এদিকে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ‘ফেরার’ সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং ‘শিখস ফর জাস্টিস’ কানাডা শাখার নেতা ছিলেন তিনি। দু’টি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ। হরদীপকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করাতে আগ্রহী ছিল ভারত।
কানাডার জন্য এই ঘটনাটি যে তীব্র অবমাননাকর, তা বোঝাতে গিয়ে পার্লামেন্ট ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।’
ভারতের সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীন, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা যেভাবে কাজ করে, এই ঘটনা (হরদীপ হত্যা) সেই মৌলিক নিয়মনীতির পরিপন্থী।’