জন্মসূত্রে পাকিস্তানি-আমেরিকান অভিনেত্রী তিনি। তবে নব্বইয়ের দশকে মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে মায়ানগরীতে বলিউড অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পা রেখেছিলেন সোমি আলি। সালমান খানের প্রেমে পড়ে কিশোর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোমি। তবে সেই প্রেমেই বার বার ধাক্কা খেয়েছেন। এমনকি, একাধিক বার সালমারে বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও করেছেন সোমি। সম্প্রতি আরও এক বার যৌন হেনস্থার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তার নিশানায় কি ফের ভাইজানই?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোমি জানান, তার শৈশবের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে চূড়ান্ত অবসাদে ভুগেছেন তিনি।
সোমি জানান, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এক দিকে আমার মা, বাবার কাছে ক্রমাগত হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন। অন্য দিকে, আমাদের বাড়ির রাঁধুনি আমার উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। আমার তখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স ছিল। তার পর আবার আমার যখন নয় বছর বয়স, তখন আমাদের বাড়ির দারোয়ানের হাতে আমাকে যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে হয়েছিল। আমি বছরের পর বছর ধরে পিটিএসডি-তে ভুগেছি। আমার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি লেখাপড়াতেও মন দিতে পারতাম না।
সোমি জানান, তার বাবা সেই সময় নামজাদা পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। বিনোদন জগতের একাধিক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তার। সেই কারণে সোমির মা ও বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে মুম্বাইয়ে আসেন সোমি। সালমানের সঙ্গে তখন থেকেই প্রেম তার। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সুনীল শেঠী, সাইফ আলি খান, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজও করেছিলেন সোমি। তবে বলিউডে বেশি দিন টিকতে পারেননি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রায় আট বছর ধরে সালমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। সেই সম্পর্কেও যৌন নির্যাতন নিয়ে একাধিক বার মুখ খুলেছেন সোমি। সামাজিক মাধ্যমের পাতাতেও হেনস্থার অভিযোগ তুলে সলমনকে কাঠগড়ার দাঁড় করিয়েছেন সোমি।