অবাধ ভোটাধিকার ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা নিয়ে কর্মশালা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে বৈঠক করবে ইসি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠকটি করবে ইসি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে
ক) নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কি হতে পারে?
খ) পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে?
গ) নির্বাচনের ফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে আনতে পারেন?
ঘ) প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন?
এর আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছিলেন, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির বিভিন্ন মহলের অভিযোগসহ কালোটাকা ও পেশিশক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যাহত হয় বলে অধিকাংশ মানুষের ধারণা। এটা কখনো প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য একজন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।
এমন বাস্তবতার আলোকে ‘অবাধ ভোটাধিকার প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ বিষয়ে একটা কর্মশালা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।