ষষ্ঠীতে অকাল বোধনের মাধ্যমে জাগ্রত হয়েছেন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবের প্রথম দিন দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী আজ ।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ৭টা ৪০ মিনিট থেকে মহাসপ্তমীর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মণ্ডপে মণ্ডপে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলোটি উপাদানে হয়েছে দেবী বন্দনা।
নবপত্রিকা প্রবেশ, বিহিতপূজাসহ নানা আয়োজনে থাকছে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। এ সময় পূজারিরা প্রতিমার সামনে বসে মায়ের মুখ দর্শন করবেন। পরে পুষ্পাঞ্জলির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে মহাসপ্তমীর পূজা।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবী দুর্গার আগমন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায়। শাস্ত্র মতে যার ফল খুব একটা শুভ না। শাস্ত্র অনুযায়ী দেবীর ঘোড়ায় আগমন ছত্রভঙ্গের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া দেবীর গমনও এবার ঘোটকে। যার ফলও শুভ বার্তা দিচ্ছে না।
শাস্ত্রমতে, দুর্গা যদি ঘোটকে চড়ে আসেন এবং বিদায় নেন তবে তার ফল ‘ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে’ অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দুই দেশে যুদ্ধ হতে পারে। সামাজিক ও রাজনৈতিকস্তরে ধ্বংস ও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এক কথায় একে বলা হয় ‘ছত্রভঙ্গম’।
রোববার (২২ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে এবং সমাপন বিকেল ৬টা ১১ মিনিটের মধ্যে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার পর শুরু হবে নবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টার পর দশমী পূজা শুরু হবে। দশমী পূজার পর অনুষ্ঠিত হবে পুষ্পাঞ্জলি।
কেএস