এটা বাংলাদেশের আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। আমরা মরতে হলেও মরবো তবুও মাঠ ছাড়ব না। এটাতে জিততে পারব যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হবে। মরতে হয় মরবো, তবুও রাজপথ ছাড়বো না। আওয়ামী লীগ কোনো ভয় পাচ্ছে না। কিন্তু জনগণ নাশকতার ভয় পাচ্ছে। করণ বিএনপির অতীত তাই বলে।
তিনি বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে, সংশয়ের কোনো কারণ নেই। আপনারা সাংবাদিকরা তো বাইরের কেউ না দেশেরই মানুষ, আপনারা দেখবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো চাপে নেই, তবে পুরনো দিনের কথা ভুলতে পারি না। ২০১৩, ১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা ভুলতে পারি না। তারা তো আগুন ছাড়া কথা বলে না। শান্তি তারা আসলে মন থেকে চায় কিনা, এটা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়ে দেব, আমরা শান্তির পক্ষে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। এদের দুরভিসন্ধি আছে, সাম্প্রদায়িক আরও দুই একটা শক্তি নিয়ে তারা অপকর্ম করতে চাইবে।
কাদের বলেন, এই অপশক্তির সঙ্গে আপস করতে পারি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে আদালত। এ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা ফাইট করেছিলাম। কিন্তু এই ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে তারা। বিচারপতি খায়রুল হক সংবিধানকে কচুকাটা করেননি, বরং সঠিক জায়গায় পুনঃস্থাপন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন নেই, তিনি রায় দিয়েছেন, এটা কি অন্যায় করেছেন?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (ইসি) একটি সুন্দর একটা নির্বাচন করতে প্রস্তুত। এখন তারা (বিএনপি) নির্বাচন কমিশনকে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করে পাকিস্তানে রূপ দিতে চেষ্টা করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে তারা (বিএনপি) যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের ধরে রাখতেই হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।’