আমি যা বলেছি তা আপনারা আগেও শুনেছেন, আবারও বলছি-কোনো নির্দিষ্ট সরকার বা রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করছি না। আর যদি নির্বাচনের কথা আসে, সেক্ষেত্রে আমরা বলব— আমরা আশা করছি এমন একটি নির্বাচন, যেটি হবে অবাধ, সুষ্টু এবং যেখানে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
স্থানীয়সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। দৃশ্যমান সাফল্যও পেয়েছে। বাংলাদেশের এ অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাফল্যকে মার্কিন প্রশাসন কীভাবে মূল্যায়ন করে?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি একটু বিস্তৃতভাবে বলব। গত বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করেছে। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারি আরও গভীর করতে আগ্রহী। বাণিজ্য, জলবায়ু, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অংশীদারত্ব অব্যাহত রয়েছে।’
এরপর বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালুর দাবি তোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করবে?
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমি গতকাল, গত পরশু বা তার আগেও এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।’
এই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের কাছ থেকে জবাব পাচ্ছি, বাংলাদেশে সবাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আপনারা অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন কি না, হ্যাঁ অথবা না।’
এ সময় বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে আগেও বলতে শুনেছেন, কোনো দেশেই সুনির্দিষ্ট কোনো সরকার, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। যেসব অঞ্চলে ভোটের আবহ বইছে, সেখানে মার্কিন প্রশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা। কেননা, এমন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানো হয়।