আর্কাইভ থেকে ছাত্র-শিক্ষক

সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিবেন ইবি শিক্ষার্থী মুসা

সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিবেন ইবি শিক্ষার্থী মুসা
সাঁতরে দীর্ঘ ১৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মুসা হাশেমী। ইতোমধ্যে তিনি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। মুসা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার এই প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ও হক ল’ একাডেমি। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতার ১৮ তম আসরে অংশ নিবেন তিনি। এবারই প্রথমবারের মত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও প্রথমবার কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এবছর দেশী-বিদেশী মোট ৩৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেবেন। ষড়জ এডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করেছে। মুসা হাশেমী জানান, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত মোট ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। এই বাংলা চ্যানেল পার করতে হলে প্রায় ৫ ঘন্টা টানা সাঁতার কাটতে হবে। এসময় কোন ধরণের সাপোর্ট বা সহায়তা নেয়া যাবে না। এর আগে তিনি রাজশাহীতে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদীতে সুইমিং করেছেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসে সুইমিং বা সাঁতার কাটার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ক্যাম্পাস থেকে ৩.৫ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার পিয়ারপুর কুমার নদে নিয়মিত অনুশীলন করছেন। এর আগে তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের উদ্দ্যেশ্যে ক্যাম্পাস-কুষ্টিয়া ২২ কিলোমিটার রান, খুলনা হাফ ম্যারাথন, রাজশাহী হাফ ম্যারাথন, সিরাজগঞ্জ হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ইউনিট কাউন্সিল সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। মুসা হাশেমী বলেন, ক্যাম্পাস থেকে রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ৪টায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে বের হবো। ২৮ ও ২৯ নভেম্বর প্র‍্যাক্টিস সেশন থাকবে সেখানে। ৩০ নভেম্বর সকালে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। বাংলা চ্যানেল বিজয় করে উদযাপনের সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি একটি দল শাহপরীর দ্বীপ থেকে বঙ্গোপসাগরে ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতার কেটে পৌঁছায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার কাজী হামিদুল হক ছিলেন এ দলের দলনেতা। তিনি সাঁতারের এ পথের নামকরণ করেন ‘বাংলা চ্যানেল’। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলা চ্যানেলে নিয়মিত বাংলা চ্যানেলে সাঁতার আয়োজিত করে আসছে বাংলাদেশের সাঁতারু ও সাঁতারপ্রেমীরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সাঁতরে | বাংলা | চ্যানেল | পাড়ি | দিবেন | ইবি | শিক্ষার্থী | মুসা