ব্যক্তিগত কাজে মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছিলেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রী এসেছেন শুনেই তার কাছে ছোটেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। প্রকাশ্যে মন্ত্রীর পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে মেয়ের বাবা বলতে থাকেন, ‘বাঁচান আমার মেয়েটাকে’। ঘটনাটি ভারতের মেদিনীপুর মেডিক্যালে।
অ্যাপেন্ডেক্টমির পর একে একে বিকল হচ্ছে নাবালিকা মেয়ের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আশা কম। মেয়েকে বাঁচানোর আর্তি নিয়ে হাসপাতালে আসা মন্ত্রীর পায়ে লুটিয়ে পড়লেন মা। রোববার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। নাবালিকার সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন তিনি।
জানা গেছে, মেদিনীপুর শহরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা মেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অসহ্য পেটে ব্যথা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। তার অ্যাপেন্ডোসাইটোসিস হয়েছে বুঝে রাতেই জরুরিু অস্ত্রপোচার করেন চিকিৎসকরা। অ্যাপেন্ডেক্টমি করে বাদ দেয়া হয় তার অন্ত্রের অংশ। পরিবারের দাবি এর পর ক্রমশ নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসকরা জানান নাবালিকার অন্ত্রের একাংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া নাবালিকার একটি বৃক্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রী সেই পিতাকে ধরে দাঁড় করান। এর পর গোটা ঘটনা শুনে সুচিকিৎসার আশ্বাস দেন। ওয়ার্ডে গিয়ে দেখে আসেন কিশোরীকে। জানান, সুপারের সঙ্গে কথা বলে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই মেয়ে। সুবিচারের দাবিতে হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজের ফাঁড়িতে অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা।