সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।
আজ রোববার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে সাক্ষ্য দেবেন সাক্ষীরা।
১১তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। তবে চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য হওয়ায়, সাক্ষীকে জেরা করবেন না আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলায় ৩০ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ৯ জন।
প্রসঙ্গত, তৎকালীন সময় বিএনপি-যুবদল ক্যাডাররা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মাহফুজা বেগমের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত মাহফুজাকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে সড়কপথে ঢাকায় ফিরছিলেন শেখ হাসিনা। পথে বেলা ১১টায় কলারোয়া বিএনপির অফিসের সামনের সড়কে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায় তৎকালীন ক্ষমতাসিন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা বিস্ফরণ করে। সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
এ ঘটনায় গাড়িবহরে থাকা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহত হন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাতক্ষীরা ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্ধশত নেতাকর্মী।
সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদেরও বেধড়ক মারপিট করা হয়। সাংবাদিকরা আত্মরক্ষার্থে সড়কের পাশেই কলারোয়া থানায় আশ্রয় নেয়। সেখানেই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে বিএনপি ক্যাডাররা।
এসব ঘটনায় তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দীন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্ত তৎকালীন ক্ষমতাসিন বিএনপির প্রভাবে থানায় মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ।
পরবর্তীতে ১২ বছর পর ২০১৪ সালে ১৫ অক্টোবার সাতক্ষীরা আদলতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নামে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি পার্টে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান।
এস