জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা জিতেছেন এবার মাত্র দুটি আসনে। কয়েক দফা দেনদরবার করে শেষ পর্যন্ত ছয়টি আসনে সমঝোতা হয়। জাসদ পায় তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি। এরা সবাই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তবে জয় এসেছে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির একটি করে আসনে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবার বরিশাল-২ আসন থেকে ও বগুড়া থেকে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন বগুড়া-৪ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। হেরেছেন টানা ৩৭ বছরের সংসদ সদস্য জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার মতো নেতা। এছাড়া লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে হেরছেন জাসদ নেতা মোশাররফ হোসেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকরা জয় পেয়েছিল আটটি আসনে। এবার তা কমে দুই-এ দাঁড়ালো।
যারা জয় পেয়েছেন
রাশেদ খান মেনন
বরিশাল-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৬১ ভোট। এ নিয়ে জোট থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি তিনবার ঢাকা-৮ থেকে নির্বাচিত হন।
রেজাউল করিম তানসেন
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট। এ আসনে মোট ভোটারদের মধ্যে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ২০১৪ সালে এ আসন থেকে প্রথম নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে হারলেও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি জয়ী হন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী স্বতন্ত্রপ্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরেছেন। মহারাজ পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট। আর মঞ্জু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট।
অপরদিকে বরাবরের মতো এবারও দলীয় নির্বাচনী প্রতীক মশাল ছেড়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে লড়াই করেন। তিনিও স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও এক সময়ের ইউপি চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিনের কাছে পরাজিত হন। এ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৯৬ ভোট। ইনু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৯ হাজার ৭৩৫ ভোট। আর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরেছেন স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে। প্রায় ২৪ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।