দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে কেবল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও কল্যাণ পার্টি—এই তিন দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৫টি দলের কোনো প্রার্থী একটি আসনেও জয়লাভ করেননি।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, স্বতন্ত্র ৪৩৬ জনসহ নিবন্ধিত ২৮ দল থেকে ১৯৭১ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিল এই নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ২৬৬ আসনে, লাঙ্গলের প্রার্থী ২৬৫ আসনে এবং কল্যাণপার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ১৬ জন। জয়ী হয়েছেন নৌকা থেকে ২২৪ জন, জাতীয় পার্টির ১১ জন (লাঙ্গল), কল্যাণ পার্টির একজন (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৬২ জন। যেসব দলের কোনো প্রার্থী জয়ী হননি তাদের মধ্যে-
১. ইসলামী ঐক্যজোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ৪২টি আসনে
২. ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি আসনে
৩. বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি আসনে
৪. কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩০টিতে
৫. গণফোরাম ৯টি আসনে
৬. গণফ্রন্ট ২১টি আসনে
৭. জাকের পার্টি ২১টিতে
৮. জাতীয় পার্টি-জেপি ১৩টি আসনে
৯. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৬৬টি আসনে
১০. তৃণমূল বিএনপি ১৩৫টি আসনে
১১. ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১২২টিতে
১২. বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১০টিতে
১৩. বাংলাদেশ কংগ্রেস ৯৬টি আসনে
১৪. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১টি আসনে
১৫. বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৫টি আসনে
১৬. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৫৬টি আসনে
১৭. বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩৮টি আসনে
১৮. বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ৫টি আসনে
১৯. বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট ৪৫টি আসনে
২০. বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪টি আসনে
২১. সুপ্রিম পার্টি ৭৯টি আসনে
২২. সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৬৩টি আসনে
২৩. ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬টি আসনে
২৪. সাম্যবাদী দল ৪টি আসনে
২৫. গণতন্ত্রী পার্টি ১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
বেসরকারিভাবে ২৯৮টি আসনের ফলাফলে উপরে উল্লেখিত ২৫টি দলের দলীয় প্রতীকের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া একটি কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।