লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায়ে চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকার কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসারছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়৷ একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আসামিরা। আদালতে ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকালে বাসায় ফিরছিলেন ওই মাদ্রাসাছাত্রী। এ সময় সাবেক পৌরসভা কার্যালয় ভবনের সামনের সড়কে কথিত প্রেমিক আনোয়ার হোসেন কইলার সোর্স অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে ফুসলিয়ে আঁখি তাকে বাগানের দিকে নিয়ে যায়। কইলার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে আঁখি এ সহযোগিতা করে। সেখানে কইলাসহ আরও তিন সহযোগী ছিল। একপর্যায়ে কইলা ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। সে প্রত্যখ্যান করলে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে অন্যদের সহযোগিতায় গাছের সঙ্গে গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাগানে মরদেহ ফেলে রাখে। পরদিন দুপুরে স্থানীয় লোকজন মরদেহটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
তাসনিয়া রহমান