আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বৃষ্টিতে ৪’শ হেক্টর ফসলে ক্ষতি

বৃষ্টিতে ৪’শ হেক্টর ফসলে ক্ষতি

কুড়িগ্রামে কৃষিতে ৪১২ হেক্টর জমিতে ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।  ক্ষয়ক্ষতি টাকার অংকে কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হাতে পেয়েছি। যার ষাট ভাগ পুরোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে আমরা টাকার অংকে বের করতে পারবো।

এদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুর সবুর জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পূবালী বায়ু চাপের কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এপ্রিল ও মে মাসে সর্বাধিক ৯৯০ মি.মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা জুন মাস পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭২ মিলিমিটার। এছাড়াও মে মাসে গেলো সোমবার (২৩ মে) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১৮ মিলিমিটার। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নীচু জমিনে লাগানো বোরোধান ও বিভিন্ন ধরণের শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরিসংখানে জানা যায়, গত দু’মাসে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ৪১২ হেক্টর ফসলাদি পানিতে নিমজ্জিত হয়। এরমধ্যে বোরোধান ২৬৫ হেক্টর, পাট ৯৫ হেক্টর, চিনা ২০ হেক্টর, শাকসবজি ১২ হেক্টর, তিল ১০ হেক্টর, কাউন ৫ হেক্টর এবং রাধুনী হর্স ৫ হেক্টর।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারজান এলাকার শিয়ালকান্দা গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক সুমন জানান, রোদ না ওঠার ফলে আমার ঘরে রক্ষিত প্রায় ৩০মন ধানে পচন ধরেছে। পাইকাররা এসে ধান দেখে না কিনেই চলে যাচ্ছেন। ৬শ টাকাতেও তারা ধান কিনতে চাইছেন না।

সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালিরভিটা গ্রামের কৃষক জিতেন জানান, বৃষ্টি এবার কৃষকদের সর্বনাশ করেছে। আমার জীবনে এমন অসময়ে বৃষ্টি আর দেখিনি। একটু বৃষ্টি থামলেই শুকনো উঠোন নিয়ে লংকাকান্ড বেঁধে যায় গৃহিণীদের মধ্যে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত ৮৩ভাগ বোরোধান কর্তন করা হয়েছে। রোদ না থাকায় কৃষকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া উদপাদন আশানুরুপ হয়েছে।

মেঘ হাসান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বৃষ্টিতে | ৪শ | হেক্টর | ফসলে | ক্ষতি